শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের ৭ দিন পূর্বে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই উপ-পুলিশ কমিশনারকে বাদলী করা হয়েছে। রাষ্টপতির আদেশ ক্রমে উপ সচিব ধনজয় কুমার দাস উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ গোলাম রউফ খান ও উত্তম কুমার পালকে শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার পদে বদলীর আদেশ দিয়েছেন। গত ২৩ জুলাই জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে বদলীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গোলাম রউফ খান তার ফেসবুক স্টাটাসে উল্লেখ করেছেন-২০১৪ সালের ২৭ মার্চে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) হিসেবে যোগদান করেন তিনি। দীর্ঘ ৪ বছর ৩ মাস ২৭ দিন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে সদাশয় সরকারের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখার জন্য সর্বদা আন্তরিকতা ও একাগ্রতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থেকেছি। সুপ্রিয় সহকর্মীদের নিয়ে বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় সকল ধরনের অপরাধ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমাতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে বরিশাল মহানগরী অত্যন্ত নিরাপদ এবং শান্তির শহর হিসেবে সকলের কাছে সমাদৃত। মামলার তদন্তের মান উন্নয়নের মাধ্যমে সাজার হার বৃদ্ধিতে সকলে আন্তরিকভাবে কাজ করেছি। বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতের সাজার হার শতকরা ৭০ ভাগের উপরে। আমার এই দীর্ঘ কর্মকালীন সময়ে বরিশাল শহরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক বন্ধুগণ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিবর্গ এবং সর্বোপরি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আমাকে আকুণ্ঠ সমর্থন যুগিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক নির্দেশনা এবং সুপ্রিয় সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাকে ধন্য করেছে বিধায় আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে বরিশাল শহর বাসির নিরাপত্তা ও সদাশয় সরকারের ভাবমূর্তির বিষয়টি বিবেচনায় সঠিক ভাবে দায়িত্বপালনকালে কখনো কখনো কারো কারো মনোকষ্টের কারণ হয়েছি যা আমাকে কখনো কখনো ব্যাথিত করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োগকৃত প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে সমগ্র চাকুরী জীবনে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বটিকে পবিত্র আমানত হিসাবে সব সময় হৃদয়ে ধারণ করেছি।
দীর্ঘ ২০ বছরের চাকরি জীবনে আমার কোন কর্মস্থল আমাকে এতটা মায়ার বাঁধনে বাঁধতে পারেনি। বরিশালের প্রকৃতি, মাটি ও মানুষ আমাকে বিমোহিত করেছে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভাবে অনেকের সাথে ঘনিষ্ঠতা জন্মেছে যা আমাকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সময়ে নস্টালজিক করবে নিঃসন্দেহে। আমি ও আমার পরিবারের সকলে আপনাদের শুভকামনা প্রত্যাশী। ভালো থাকুক বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থপতি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, সত্য- প্রেম ও পবিত্রতার প্রতীক মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত, শিক্ষানুরাগী-দানবীর অমৃত লাল দে, কৃষক কূলের নয়নের মণি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত, চারণ কবি মুকুন্দ দাস, মাটি ও মানুষের কবি জীবনানন্দ দাশ, কবি কুসুমকুমারী দাশ, স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আধুনিক বরিশালের রূপকার শওকত হোসেন হিরন সহ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও জাতীয় জীবনে অবদান রাখা অসংখ্য মহা মানুষের এই বরিশালের সকল মানুষ। সকলের জন্য নিরন্তর শুভকামনা।দীর্ঘ ২০ বছরের চাকরি জীবনে আমার কোন কর্মস্থল আমাকে এতটা মায়ার বাঁধনে বাঁধতে পারেনি। বরিশালের প্রকৃতি, মাটি ও মানুষ আমাকে বিমোহিত করেছে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভাবে অনেকের সাথে ঘনিষ্ঠতা জন্মেছে যা আমাকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সময়ে নস্টালজিক করবে নিঃসন্দেহে। আমি ও আমার পরিবারের সকলে আপনাদের শুভকামনা প্রত্যাশী। ভালো থাকুক বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থপতি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, সত্য- প্রেম ও পবিত্রতার প্রতীক মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত, শিক্ষানুরাগী-দানবীর অমৃত লাল দে, কৃষক কূলের নয়নের মণি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত, চারণ কবি মুকুন্দ দাস, মাটি ও মানুষের কবি জীবনানন্দ দাশ, কবি কুসুমকুমারী দাশ, স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আধুনিক বরিশালের রূপকার শওকত হোসেন হিরন সহ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও জাতীয় জীবনে অবদান রাখা অসংখ্য মহা মানুষের এই বরিশালের সকল মানুষ। সকলের জন্য নিরন্তর শুভকামনা।
Leave a Reply